স্টাফ রিপোর্টার: মিনহাজুল আরেফিন মামুন। বগুড়া সদর উপজেলার রায়মাঝিড়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ৪ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে সব ছোট সে। পৃথিবীর আলো দেখার মাত্র ৭দিনের মাথায় মা’কে হারান। পাল্টে যায় ভবিষ্যৎ। মা-হারা ফুটফুটে ভাগ্নেকে ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে নেন মামা মহসিন আলী। মামী মিসেস দৌলতুন্নেসার কোলে ঠাঁয় হয় শিশু মামুনের। অজোপাড়া গ্রাম থেকে নতুন ঠিকানা হয় ব্যস্তশহরে। বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়া এলাকায় মামা-মামীর আদর-যতেœ বেড়ে ওঠেন মামুন। মামুন এখন ২৮ বছরের টগবগে যুবক। বগুড়ার একটি বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে কর্মজীবনে পা রেখেছেন। নরসিংদীতে ডোরিন পাওয়ার প্লান্টে ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মজীবন শুরুর পর বগুড়া শহরের মালতীনগর দক্ষিণপাড়ায় বিয়েও করেছেন প্রায় ছ’মাস পূর্বে।
জীবন সাথীকে নিয়ে যখন জীবনকে নিজের মত করে সাজানো শুরু করেছেন, ঠিক তখনি সবচেয়ে বড় দু:সংবাদ আসে। মেডিকেল চেকআপে ধরা পড়ে তার দুটি কিডনীই নষ্ট হওয়ার পথে! দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চিকিৎসায় সুফল না পাওয়ায় ছুটে যান সীমান্তের ওপারে। ভারতের চেন্নাই রাজ্যের কিডনী বিশেষজ্ঞ ডা: রাজা মহেশের অধীনে বর্তমানে চিকিৎসাীধন রয়েছেন। ডাক্তার বলেছেন, কিডনি পরিবর্তন ছাড়া তাদের আর কিছুই করার নেই। চিকিৎসক জানিয়েছেন, দুটি কিডনী প্রতিস্থাপন করতে কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। যত দ্রুত সম্ভব দুটো কিডনীই প্রতিস্থাপন করতে না পারলে মামুনের জীবন প্রদ্বীপ হয়ত নিভে যাবে যেকোন সময়।
লালন-পালনকারী মামা-মামী (যাদেরকে বাবা-মা বলেই জানে মামুন) ছেলের দু:সংবাদে মুছড়ে পড়েছেন। সন্তানের দু:শ্চিন্তায় বাকরুদ্ধপ্রায় তার মামী। ভাগ্নের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে পাগলের মত ছুটছেন মামা মহসিন আলী। মামুনের বন্ধু-বান্ধবরাও যে যার মত প্রানপণ চেষ্টা করছেন চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে। কিন্তু এত বিশাল অঙ্কের টাকা জোগাড় করা কারোর পক্ষেই সম্ভব হয়ে উঠছেনা। ফলে টগবগে তরুণ ইঞ্জিনিয়ার মামুন সত্যিই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন, নাকি অর্থের অভাবে অকালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন এমন দু:শ্চিন্তায় রয়েছেন তার স্বজনরা।
ইঞ্জিনিয়ার মামুনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্কুলশিক্ষক ইমামুল মুরসালিন বাপ্পী তার বন্ধুর চিকিৎসায় সহায়তা কামনা করে বলেন, চোখের সামনে একজন উচ্ছল তরুণের এমন করুণ পরিণতি তারা সহ্য করতে পারছেন না। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ৩০ লক্ষ টাকা জোগাড় করতে প্রানপণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিশাল অঙ্কের টাকা জোগাড় করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা। তাই মামুনের পরিবার এবং স্বজনদের পক্ষ থেকে সমাজের বিত্তবান, হৃদয়বান মানুষদের নিকট কিডনী প্রতিস্থাপনের জন্য সহযোগিতা কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠানোর হিসাব নং-৪০০২০১০০০৬৫২৩, রুপালী ব্যাংক কলোনী বাজার শাখা,বগুড়া। মোবাইলঃ-০১৭২২-১০৯৩০১ (রুগী), ০১৭৩০-৬১৬৪৬৮ (রুগীর মা)।
Leave a Reply